গড়ে প্রতি বছরেই স্মার্ট ফোনের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার কারীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমানে বেড়েই চলেছে । এর মূল কারণ হচ্ছে স্মার্ট ফোন লেপটপ কিংবা ডেক্সটপ এর তুলনা বহন যোগ্য, আর তাই বলে অনলাইন শপিং থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সবকিছুই এখন স্মার্ট ফোনেই করে থাকেন । COVID-19 এর মতো দুর্যোগ অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন একটি সুন্দর ওয়েবসাইটের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। বাহিরে গিয়ে শপিং / কেনাকাটা করাটা কঠিন এবং এমনকি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তাই অনেক ক্রেতাই তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য অনলাইন শপিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। যা ওই সময়ের রিপোর্ট দেখলে সহজে আপনি উপলদ্ধি করতে পারবেন । ফলস্বরূপ, আপনার ওয়েবসাইট, লিড জেনারেশন বা ইকমার্স যাই হোক না কেন, গ্রাহকের আগ্রহ বাড়াতে এবং কার্যকরী করতে অবশ্যই নিখুঁতভাবে কাজ করতে হবে। এর অর্থ আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিটর এর নিকট আকর্ষণীয়, তাড়াতাড়ি লোড হয় এবং এসইওর জন্য উপযুক্ত এমন ডিজাইন করা ।
গুগল রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন পছন্দ করে
মোবাইল ওয়েব ব্রাউজিংয়ের বৃদ্ধির সাথে একটি ভাল মোবাইল অভিজ্ঞতা কতটা প্রয়োজনীয় তা সার্চ ইঞ্জিনগুলি বুঝতে পেরেছে। উদাহরণস্বরূপ, গুগল এখন মোবাইল ফ্রেন্ডলী সাইট গুলোকে প্রথমে ইনডেক্স করে । এর অর্থ এটি ডেস্কটপে মোবাইলের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে সামগ্রীর মোবাইল সংস্করণটি ক্রল করে। যদি আপনার মোবাইল সাইটটি ধীরে ধীরে লোড হয় এবং ডিজাইনটি ডিভাইসের আকার অনুযায়ী যথাযথভাবে সামঞ্জস্য না করে তবে এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং আপনার এসইও র্যাঙ্কিংকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিতে (এসইআরপি) /(SERPs) দেখানো না ও হতে পারে কেবল মাত্র আপনার সাইটি রেস্পন্সিভ নয় বলে ।
রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এবং সময় ব্যয় কমানো
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিভাইস বের হচ্ছে আর আপনার ওয়েব সাইট এখন থেকেই যদি রেস্পন্সিভ হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তিতে আপনার সময় ব্যয় অল্প হবে । কোম্পানী গুলো যে frequency উপর ভিত্তি করেই নতুন ডিভাইস তৈরি করুক না কেন আপনার সাইট এখন রেস্পন্সিভ এর অর্থ হলো আপনার সাইটের ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তির সাথে বিকাশ এবং অভিযোজিত হতে পারে ।
রেস্পন্সিভ ইমেজ / চিত্র
কোন ছবিকে রেস্পন্সিভ করতে আপনাকে CSS এর কাজ করতে হবে । CSS এ এর প্রস্থ ১০০% করে এটি উপর থেকে নিচের দিকে স্কেল হবে। ঠিক এমনাটা দেখাবে :
রেস্পন্সিভ লিখা / Responsive Text
লেখা রেস্পন্সিভ করার জন্য আরেকটি “viewport width” ইউনিট অথবা “vw” দিয়ে সেট করা যেতে পারে।
এইভাবে লেখার আকারটি ব্রাউজারের উইন্ডোর আকারে পরিবর্তিত হবে:
যদি আপনার ডিজাইনটি রেস্পন্সিভ না হয় তবে গ্রাহক/ভিজিটরদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস করতে পারেন
আপনি যদি চান আপনার সাইটের ভিজিটর কোন ফর্ম পূরণ করা , পণ্য কেনা , কোন পরিষবাদির সাবস্ক্রাই করবে , কৌশলগত ভাবে প্রতিটি উপদানই আপনার conversions এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ । আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য বিভিন্ন হতে পারে, তবে আপনার ভিজিটরদের জন্য একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া আপনার দ্বায়িত্ব । কারণ Google সক্রিয়ভাবে আপনার ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিচ্ছে। দরুণ কোন ছবি বা লেখা দেখতে অনেকটা ছোট দেখাচ্ছে তাহলে আপনার সাইট পেশাদারিত্বহীন দেখতে পারে, আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে ভিজিটরদের মতামতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
যদি আপনার কল-টু-অ্যাকশন (সিটিএ) বোতামটি সঠিক জায়গায় না থাকে বা এখনও খারাপ দেখা যায় না এমন হয়ে থাকে তাহলে দেখবেন এটি খুব নাটকীয়ভাবে আপনার conversions rate কে প্রভাবিত করতে পারে । প্রজন্ম ডিজিটাল লিমিটেড একটি রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এজেন্সি যা conversions rate optimaization সেবা ও সরবরাহ করে, তাই যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইটের conversions rate বা রেস্পন্সিভ করার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত প্রয়োজন বলে মনে করেন তবে অবশ্যই যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না।